ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:::
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রেমিক মনিরুল ইসলাম (২০) তার দুই বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের কারণ হিসেবে ধর্ষক মনিরুল ইসলাম জানান যে, প্রেমিকা একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে সে এই কান্ড ঘটায়।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল/২৪) দুপুরে মনিরুল ইসলাম গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। আদালতের বিচারক মেহেদি হাসান জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার মনিরুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার শালমারা গ্রামের চৌদ্দ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামে ছেলে মনিরুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে মনিরুল জানতে পায় যে, তার প্রেমিকার সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে তার দুই বন্ধু একই গ্রামের মজনু শেখের ছেলে অসীম শেখ (২০) ও শরিফুল শেখের ছেলে শহিদ শেখকে (২২) সঙ্গে নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ভিকটিমের বাড়ীর পিছনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। এ গণধর্ষণের বিষয়টি ঊভয় পক্ষ ধামাচাপা দিলেও প্রেমিকার অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি প্রকাশ হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিত কিশোরির বাবা (পিতা) আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৯ এপ্রিল ওই তিন জনকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে মামলা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্, এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,মামলায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ও শহিদ শেখ জেলা কারাগারে রয়েছে এবং অসীম পলাতক
