দৈনিক কক্সবাজার পোস্ট
ঢাকাবুধবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আরও
  5. কক্সবাজার
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাত্রা
  12. তথ্য ও প্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. ফিচার
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন রোহিঙ্গাদের জন্য নয় অতিঝুকিপূর্ণ ১৫০ পরিবারকে সরিয়ে নিতে সেড নির্মাণ করছে ছওয়াব

মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জিসান,
এপ্রিল ১৬, ২০২৫ ১২:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৪ তে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় ১৫০ পরিবারের জন্য শেল্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বেসরকারি সংস্থা ছওয়াব।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি এ প্রকল্পের অনুমোদন নেয় বেসরকারি সংস্থা ছওয়াব। মিয়ানমার থেকে সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং অতি ঝুকিপূর্ণ ১৫০ পরিবারকে সরিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর বর্ষার সময় এই এলাকায় পাহাড় ধ্বসে ৭ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল বলেও জানা যায়। আগামী বর্ষাতেও এরকম ঝুঁকির আশঙ্কায় এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্প ১৪ তে পাহাড় কেটে, গাছ কেটে নতুন আগত রোহিঙ্গাদের জন্য সেড নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আরকান থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা আসতে উৎসাহিত হবে।

সরেজমিনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। নতুন সেড নির্মিতব্য ১৪ ব্লকের ই-৩ ব্লকে কোন গাছপালা বা পাহাড় ছিলনা। এখানে কোন বসতি ছিল না, ছিল এটি একটি বড় খেলার মাঠ। এখানে গাছ কাটা বা পাহাড় কাটার কোন ঘটনা ঘটেনি। থাইংখালীর বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ বলেন, এটি বনের জায়গা হলেও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে কাঁটাতারের ভিতরের সবকিছু সিআইসি দেখেন। তবে মাটি ভরাটের খবর পেয়ে আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তখন শেল্টার নির্মাণের কাজ চলমান ছিল।

ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জানান, এই জায়গাটা ছিল হাতির ডেরা। এরপর এটা যুবকরা গর্ত ভরাট করে খেলার উপযোগী মাঠ তৈরি করে। এরপর থেকে এটি খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত। গত বছর বর্ষার সময় পাহাড় ধসে বিভিন্ন ব্লকে ৭ জন রোহিঙ্গা মারা যায়। এখন ঝুঁকিপূর্ণ ব্লক থেকে ১৫০ পরিবারের প্রায় ৫শ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে সরিয়ে আনার জন্য শেল্টার নির্মাণ করছে ছওয়াব। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা।

বেসরকারি সংস্থা ছওয়াবের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আতাউল্লাহ জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যখন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে তখন থেকে ছওয়াব বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত তাদের জন্য শেল্টার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে ছওয়াব। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অ্যাসেসমেন্ট শুরু হয়। বিভিন্ন সিআইসি অফিসের অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে জানতে পরলো ক্যাম্প ১৪ তে কিছু ঝুকিপূর্ণ ও অতিঝুকিপূর্ণ ঘর আছে, যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে। প্রতিবছর পাহাড় ধসে রোহিঙ্গা কমিউনিটিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ক্যাম্প ১৪তে গতবছর ৭জন মানুষ পাহাড় ধসে মৃত্যু বরণ করেছে এবং একজন মানুষ নিখোঁজ আছে। মূলত ক্যাম্প ১৪ তে ৩২২টি পরিবার রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ২০০ পরিবার রয়েছে মোটামুটি ঝুঁকিপূর্ণ। তারমধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ১৫০ পরিবারের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সেড তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের আনুষঙ্গিক যা যা প্রয়োজন তাও তৈরি করা হচ্ছে।

সওয়াবের জেলা কোঅর্ডিনেটর আবু সাদাত আহমেদ নোহ বলেন, ২০১৭ সাল থেকে সওয়াব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে। ৫টি ব্লকের অতিঝুঁকিপূর্ণ ৩২২ পরিবার থেকে ১৫০ পরিবারকে বর্ষার আগে সরিয়ে নিতে ব্লক ই-৩ তে সকল সুযোগ সুবিধাসহ সেড নির্মান করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৪ এর ইনচার্জ ফারুক আল মাসুম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরানো খুবই জরুরী। গত বছর বর্ষায় পাহাড় ধ্বসে এখানে ৭ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। এনজিও সওয়াব এধরণের ৩২২ টি অতিঝুঁকিপূর্ণ পরিবার থেকে ১৫০ পরিবারকে
সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাই নতুন সেড নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন থেকে আরো চারমাস আগে থেকে এই সেড নির্মানের কাজ শুরু হয়। একটি মহল অহেতুক এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

সম্প্রতি “রোহিঙ্গাদের জন্য শেল্টার নির্মাণে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়ে ছওয়াবের জেনারেল ম্যানেজার লোকমান হোসাইন তালুকদার এক বিবৃতিতে বলেন, প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় ছওয়াব নতুন রোহিঙ্গাদের জন্য শেল্টার তৈরি করছে। অথচ ছওয়াব ক্যাম্প ১৪ তে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় প্রায় ৩২২ পরিবারের মধ্যে ১৫০ পরিবারের জন্য শেল্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করে এবং চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি এ প্রকল্পের অনুমোদন গ্রহণ করে। তাছাড়া সরকার কর্তৃক ১ লাখ ৮০ হাজারো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগের খবর শেল্টার নির্মাণের অনেক পরে আসে এবং সরকারের এই উদ্যোগকে ছওয়াব স্বাগত জানায়। যেখানে ছওয়াব শেল্টার নিমার্ণ করছে, সেটি খেলার মাঠটি ছিলো, এই মাঠে কখনও কোন বনায়ন ছিলো না। রোহিঙ্গাদের খেলার জন্য পাশের আরেকটি জমিতে ছওয়াব খেলার জন্য জায়গা স্থানান্তর করে দিয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

কেনাকাটার আনন্দ ঈদ অফারে