“খোলা চিঠ”
সম্মানিত উখিয়াবাসী আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমতুল্লাহ। ভাল আছেন আশা করি।
আমরা কোটবাজার এর সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আজ ও জুলুমের শিকার হচ্ছি। এ দুঃখ বলি কারে।
অতপরঃ–বাংলা নববর্ষের শুরুতে প্রতিবছর উখিয়া উপজেলার সব হাটবাজার ইজারাদারদের বুঝিয়ে দেয়া হয়।
গেলবছরগুলো স্বৈরাচারী কায়দায় আধিপত্যবাদী কিছু লোক অতিরিক্ত মূল্যে বাজার ইজারা নিয়ে,আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা হাসিল নিত।আমরাও পেটের দায়ে ব্যবসা করার জন্য সব অন্যায় মুখ বুঝে সয়ে যেতাম।
কিন্তু রক্তাক্ত জুলাই আগস্ট এ ছাত্র জনতার মহা বিপ্লবে স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর, এই বছর উখিয়া উপজেলা সব বাজার ইজারা দেয়, এতে কোটবাজার সর্বোচ্চ ১ কোটি ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকায় ইজারা হয়, যা সরকারি ভ্যাট সহ ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা হয়। গত বছরের তুলনায় এই প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা কমে যায়। গত বছর ছিলো ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা।
যেটা শুনে ও দেখে সাধারণ ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিশ্বাস পেলে আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছিলাম। যাক এবার অনেক বছর পরে হলেও আমরা হাসিলের টাকা কিছু কম দিতে পারব।কিন্তু দূর্ভাগ্য কপাল পুড়া কোটবাজারের ব্যবসায়ীরা।
আগের ইজারাদার পেশ্রাব করত আমাদের সন্তান সন্ততির রিজিকে,অপরদিকে এবারের ইজারাদার পায়খানা করে সন্তান সন্ততির রিজিকে।
পহেলা বৈশাখে দেখা গেল সাব ইজারাদার এসে বর্তমান থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিবার নির্দেশ দিলে চিরদুঃখী ব্যবসায়ীরা হতভস্ব হয়ে জিজ্ঞেস করে, ভাই উপজেলা থেকে তো এবছর ২৫ লক্ষ টাকা কমে ইজারা হয়েছে, তাহলে কেন বর্তমান থেকে টাকা বাড়িয়ে দিবো?
আর বাড়তি টাকাটা কার জন্য দিবো, কেন দিবো, কি কারণে দিবো?
তখন সাব ইজারাদার ব্যঘ্রমূর্তি ধারণ উত্তর দেয় এত কথা বলার সময় নাই দিতে বলেছি- -দিতেই হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে বাজার গত বছরের তুলনায় ২৫ লক্ষ টাকা কমে ইজারা হয়, সেই বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক বাড়তি টাকা নেওয়ার লোক তু অন্তর্বত্তীকালীন সরকারে নেই।তাইলে?
এই প্রশ্ন আর অভিযোগ উখিয়া উপজেলাবাসী ও সাধারণ ছাত্র জনতার কাছে দিলাম।
বিষয়টি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবগত করে বিচার না পাইলে আমরা হয়তু ঢাকা প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে পারি।আমাদের জন্য দোয়া করবেন প্রিয় উখিয়াবাসী আমরা কিন্তু চিরবঞ্চিত ব্যবসায়ী।
ইতি
আপনাদের ভাই বন্ধু ও একজন সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
হেলাল বিন চৌধুরী সাঈদী
সাংগঠনিক সম্পাদক পালং মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি।
১৫-০৪-২৫ ইং।