দৈনিক কক্সবাজার পোস্ট
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অভিযোগ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আরও
  5. কক্সবাজার
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাত্রা
  12. তথ্য ও প্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. ফিচার
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মহেশখালী’র আধুনিক কৃষক মমতাজ’র সাফল্যের গল্পঃ সবজি চাষে মাসে লাখ টাকা আয়

admin
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ ৪:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মিজবাহ উদ্দীন আরজু :: মহেশখালী

বিশাল জমি, ক্ষেতে সারি সারি বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন আর টমেটো এবং মূলা। চাষি মমতাজ আহমেদ এর মুখে হাসি! বললেন, সবজি চাষাবাদে তাঁর সাফল্যের গল্প।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে বড় ছড়া গ্রামের সফল সবজি চাষি মমতাজ আহমেদ এখন স্থানীয় কৃষকদের জন্য দৃষ্টান্ত ও অনুকরণীয় একজন মানুষ।

বর্তমানে তিনি দুই একর জমিতে তিন ফসলি হিসেবে বছরে কমপক্ষে ছয় ধাপে সবজি চাষ করে আয় করছেন লাখ টাকা।

তিনি বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্য ও বাপ-দাদার কর্ম হিসেবে প্রায় ৫ বছর আগে চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। ওই সময় মাত্র ৩০ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেই সাফল্য পান। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, ইতিমধ্যে সবজি বিক্রির টাকা দিয়ে করছেন বাড়ি ও বসতভিটা সহ জায়গা জমি। কৃষক মমতাজ অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত চাষ করেন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটো এবং বেগুন সহ মুলা। এরপর ফাল্গুন থেকে চৈত্র পর্যন্ত পুঁইশাক ও পালংশাক সহ বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি এবং বৈশাখে শসা, চিচিঙ্গা, করলা ও চালকুমড়ার আবাদ করেন তিনি। সেই সাথে রবি মৌসুমে করেন বীজ ধান উৎপাদনের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর প্রদর্শনী বাস্তবায়ন সহ নতুন নতুন জাতের চাষাবাদ।

চাষাবাদে রাসায়নিক সারের তুলনায় নিজের উৎপাদিত জৈব সার অনেক বেশি ব্যবহার করেন তিনি। ক্ষেতের পাশেই কনন করেন পুকুর, ওখান থেকেই দিয়ে সেচ দেন জমিতে। এ জন্য খরচও কমে, ফলনও ভালো হয়। এভাবে বছরে কমপক্ষে ছয় ধাপে বিভিন্ন সবজির চাষ করেন তিনি। প্রতিদিন গড়ে তিনজন শ্রমিক কাজ করেন মমতাজের ক্ষেতে।

মমতাজ বলেন, ফুলকপি ও বেগুন এবং মুলা ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু করছেন। বিক্রি করে তাঁর ভালো লাভও হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জমি তৈরি শুরু করে চারা লাগানো, সার প্রয়োগ, সেচ থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত প্রতিটি ফুলকপিতে গড়ে খরচ পড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। আর একটি ফুলকপি বাজারে বিক্রি করে পাচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ টাকা।

মমতাজের এই সাফল্যের পেছনে ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তাদেরও ভূমিকা আছে। তিনি বলেন, তাঁকে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাগর। বর্তমানে সবজি চাষে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তা নেন। তাঁর সাফল্য দেখে ওই এলাকার শতাধিক চাষি বর্তমানে সবজি চাষ করছেন। অনেকেই তাঁর কাছে পরামর্শের জন্যও আসেন।
প্রতিবেশী কৃষক হাবিব উল্লাহ’র ক্ষেতের ফসল দেখে সবজি চাষের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মে। তিন বছর ধরে তিনি সবজি চাষ করছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাগর জানান, মমতাজ একজন সফল এবং অনুকরণীয় সবজি চাষি। সবজি চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে তিনি সচ্ছল হয়েছেন। তাঁকে দেখে এলাকার অনেকে সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সবজি চাষ করেও যে তাঁর আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে, মমতাজ আহমেদ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হোয়ানকের কৃষক মমতাজ আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর ট্রেনিং প্রাপ্ত একজন দক্ষ ও আধুনিক কৃষক। তিনি সারাবছর ব্যাপী বিভিন্ন শাকসবজি ও ধান চাষাবাদ করে মাসে লাখ টাকা আয় করে যাচ্ছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

কেনাকাটার আনন্দ ঈদ অফারে