কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাসপাতালে এক নারীর মৃত লাশ রেখে পালানোর সময় নুরুল আলম সিকদার নামের এক ব্যক্তিকে চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেলো,গতকাল বিকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উত্তর ডেমশা ইউনিয়নের নুরুল আলম সিকদার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি রুমানা (২৫) নামের এক নারীর লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে চকরিয়া থানায় খবর দেন।
এ সময় নারীর লাশ নিয়ে আসা নুরুল আলম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার মালিকানাধীন রামু উপজেলার ছদরঘোনা এলাকার ভাড়া বাসায় ওই নারী স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই নারীর নাম রুমানা, প্রযত্নে সাদ্দাম ড্রাইভার, ঠিকানা কালুর দোকান, কক্সবাজার লেখা রয়েছে বলে জানান রিসিপশনের ডিউটিতে থাকা ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিকভাবে ওই নারীর গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ইয়াসিন মিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা নুরুল আলম সিকদারের ভাড়াটিয়া ছিল রুমানা। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে রেফার করেন। চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে আশঙ্কাজনক হওয়ায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নুরুল আলম সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। বিষয়টি রামু থানায় অবগত করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।