পেকুয়া প্রতিনিধি:::
পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে বন বিভাগের জায়গা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বিদ্যমান।
জানাযায়, ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জারুলবনিয়া দক্ষিণ জুম বিলেজার পাড়া এলাকার ছাবের আহমেদের পুত্র (দুবাই প্রবাসী) মোঃ রমিজ উদ্দিন একই এলাকার আমির হোছাইন থেকে তাহার জীবদ্দশায় নয় বছর পূর্বে পঁহারচাদা বন বিভাগের আওতাধীন ৩০শতক জমি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প মূলে ক্রয় করেন। বর্তমানে খরিদা মূলে প্রবাসী মোঃ রমিজ উদ্দিন চুক্তিপত্রের চৌহদ্দী মোতাবেক দখলে আছে। তবে মোঃ রমিজ উদ্দিন প্রবাসে থাকায় এবং বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে উক্ত খরিদা জমিতে কোন সংস্কার না করায় জায়গাটি পরিত্যাক্ত। এই সুবাদে জমির বিক্রয় দাতা
মৃত আমির হোছাইন ছেলে পরধন লোভী, দখলবাজ বাদশা মিয়া ওই জায়গায় লোলুপ দৃষ্টি দেয় এবং জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
গত সোমবার বিকেল ৫টায় খরিদীয়া জায়গায় রমিজ উদ্দিনের ভাই ছমি উদ্দিন দুইজন দিনমজুর নিয়ে জায়গায় কাজ করছিলেন। এসময় বাদশা মিয়ার মেয়ের জামাই বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়কারী প্রবাসী ইউনুছ জলিল (প্রকাশ রোহিঙ্গা জলিল), বাদশা মিয়া, তাঁর মেয়ে রহিমা আকতার দিন মজুরদের উপর হামলা চালায়। এঘটনায় ছরওয়ার আলম (৩০) ও মোঃ আবু হানিফ(১৯) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনার জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে ছমি উদ্দিন বাদি হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ছমি উদ্দিন জানান, ইউনুচ জলিল আমেরিকা প্রবাসে থাকাকালীন সময়েও আমার ভাইয়ের খরিদকৃত জমির ছাফ বিক্রয় চুক্তিপত্র তাঁর শ্বশুর বাদশা মিয়ার নিকট ফেরত বলেন। না দিলে আমাকে এবং স্বপরিবারে প্রাণে হত্যার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। প্রতিপক্ষ পরধন লোভী, শঠ, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃজনকারী, নিরীহ মানুষের জমি-জমা জবর দখলকারী এবং ভূমি দস্যু প্রকৃতির লোক হয়। এরা আমার ভাইয়ের খরিদীয়া ও ভোগ দখলীয় জায়গা জবর দখলে নিতে পাঁয়তারা করছে। ঘটনারদিন তাঁরা আমার নিয়োগকৃত দিন মজুরদের হামলা করে।
এ বিষয়ে বাদশা মিয়া বলেন, বিরোধীয় জায়গা তাঁর পৈত্রিক জায়গা। এটি রমিজ উদ্দীনকে বিক্রি করা হয়নি। তাঁদের উপর হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। উল্টো তাঁরাই আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ পৃথক দুটি অভিযোগ পাওয়ার কথা শিকার করে বলেন, একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।