কোডেক এনজিও এর ” শিশু সুরক্ষা প্রকল্পে” ক্যাম্প ০৬ এর কার্যক্রম পরিচালনা করছে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা জামাল উদ্দীন।
নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের পরেও কোডেক এনজিও র শিশু কার্যক্রম প্রকল্প পরিচালনা করছেন সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার হাসেমিয়া কামিল মাদরাসার সভাপতি জামাল উদ্দিন।।
তথ্যসূত্রে জানা যায় এই জামাল উদ্দিন রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ও নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা জামাল উদ্দীন গত জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ও বহু রাষ্ট্রবিরোধী মামলার আসামী ও জুলাই গন অভ্যুত্থান দমানোর সম্মুখ সারির এই ছাত্রলীগ নেতা কারাগার থেকে বের হওয়ার পরেও বহাল তরবিয়তে রয়েছে কোডেক নামীয় উন্নয়ন সঃস্থায়।
আরো খোজ খবর নিয়ে জানা যায় এই দুধর্ষ ছাত্রলীগ ক্যাডার জামাল উদ্দীন কক্সবাজার হাশেমিয়া মাদরাসার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সে কোডেকের উচৃচ পদস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কারাগার থেকে বের হয়ে পুনরায় চাকুরীতে যোগদান করেন। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে সে বড় দলীয় নেতা দ্বারা ফোন করিয়ে ভয় ও হুমকি দিয়ে এই চাকুরীটা নেন তখন সে ডিগ্রী পাস ও করেননি ! ডিগ্রি পাশ না করে সার্টিফিকেট জালিয়তী করে সে পিএসএস অফিসার হিসেবে জয়েন করলে ও এতদিন দলীয় চাপে কোডেকের সিনিয়র ম্যানেইজমেন্ট এ নিয়ে কেউ মুখ খুলেননি তার সার্টিফিকেট চেক করা জরুরি, চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে সে ক্যাম্প- ০৬ এ কর্মরত আছে।
সে এইখানে চাকুরী জীবনে সহকর্মী ও ভলেন্টিয়ারদের নিজের দলীয় পরিচয় দিয়ে হুমকি দেখিয়ে একধরনের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যাহা দেখা ও জানার পরে নিরব থাকছেন তাহার সুপারভাইজার ও প্রজেক্ট ম্যানাজারগন।
বিগত ১৫ ই মে কক্সবাজার হাসেমিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়, সে কিভাবে দ্রুত জামিনে বেরিয়ে যায়? এবং জামিনের ক্ষেত্রে কি কোন মোটা অংকের টাকা বিনিময় হয়েছে কি?
এত সব বিষয় কোডেক প্রকল্প পরিচালকেরা জানলে ও না জানার ভান করে থাকছে।।
অথচ বেসরকারি উন্নয়ন সঃস্থায় কোন কর্মী দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী ফৌজদারি কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তাহার চাকুরী করার আর অধিকার থাকে না। কিন্তু দুধর্ষ ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দীনের ব্যাপারে কেন ব্যাতিক্রম তা জনমতে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে???? কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা এই ছাত্রলীগ নেতা বিগত সময়ের ছাত্র আন্দোলন দমানোর দায়ে অভিযুক্ত ও ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে থাকার পরে ও চাকুরী কিভাবে করছে তার কোন জবার দিতে পারছেনা প্রকল্পের পরিচালক অমিতাব ব্যানার্জি জানান জামাল উদ্দিন যে আটক হয়েছিল এবং জেলে ছিলেন সে বিষয়ে অবগত নয় বলে অস্বীকার করেন, এবং কোন রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠনের নেতা কর্মী কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী থাকতে পারে না এইটা ও পরিশেষে জানান। বৈষম্য বিরোধী এক নেতা জানান কোন এনজিওতে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা কর্মী ও জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীকে স্বপদে বহাল রাখলে অথবা নিয়োগ দিলে সেই এনজিওর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।