শত বছরের কবরস্থান রক্ষায় একটি গাইড ওয়াল দাবি করছেন বৃহত্তর থিমছড়ির জনগণ।
উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া থিমছড়ি গ্রামের শত বছরের কবরস্থানের ভাঙ্গন রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন থেকে গাইড ওয়াল দাবি করছেন এলাকাবাসী । উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ড অপরদিকে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ড দুই ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ করা ঢলোয়া খাল ( থিমছড়ি) খাল হিসেবে পরিচিত, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি হিলটেক এলাকার বর্ষার ভারী বর্ষণের বৃষ্টির পানি গুলো অনেক বেশি শ্রোতে নিচের দিকে নেমে আসে ,
সেই পানি জালিয়াপালং ইউনিয়নের রেজুখালে গিয়ে মিলিত হয় সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে,
সেই পাহাড়ি ঢলের ধাক্কায় বিলীন হচ্ছে ১০ হাজার মানুষের শেষ ঠিকানা থিমছড়ি গ্রামের ঐতিহাসিক কবরস্থানটি।
মানুষ মরণশীল,প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে,মানুষ মরলে যেখানে দাফন করা হয় সেই স্থানকে আমরা সকলে কবরস্থান হিসেবে চিনে থাকি।
বৃহত্তর থিমছড়ি এলাকার ঐতিহ্যবাহী কবরস্থানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : ১ম বিশ্ব যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর কামান,গোলা বারুদ বসানো হতো এই যায়গায়, বৃটিশ বাহিনী মাটি ভরাট করেছিলেন যুদ্ধের ক্যান্টনমেন্ট করার জন্য ভারী অস্ত্র সরঞ্জাম এই যায়গায় দেখা যেত, এবং বৃটিশ বাহিনীর বড় বড় ট্রাংক গাড়ি হেলিকপ্টার আসত,মাটি ভরাটের ফলে উঁচু স্থানে পরিণত হয়, দীর্ঘদিন যুদ্ধ চলে ও পরে যুদ্ব শেষ হয়, যুদ্ধ সমাপ্ত হলে এই যায়গাটি এলাকার মানুষ কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে, সেই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম প্রজন্ম পর্যন্ত ব্যবহার হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজার জেলার সাবেক পিটিআই সুপার এলাকার প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও মুরুব্বি আবুল কাশেম (স্যার) ।
দূঃখজনক হলেও সত্য বিগত ২ দশকে পাহাড়ী ঢলে এক তৃতীয়াংশ কবরস্থান ভেঙে গেছে যেখানে ছিল শত বছরের পুরনো কবর !
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন দফতরে কবরস্থান রক্ষায় আবেদন করলেও ইউএনও অফিস থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখিয়ে দেয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউএনও অফিসকে দেখিয়ে দেয় বাজেট নেই বলে! তৎকালীন এমপি আব্দু রহমান বদি সরজমিনে পরিদর্শন করেও কোন উদ্যোগ নেননি! স্থানীয় সচেতন নাগরিক সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল যোবাইর গনমাধ্যমকে জানান: আমাদের এই কবরস্থান ১০ হাজার মানুষের ১টি মাত্র কবরস্থান ,আমরা ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি পাহাড়ি ঢল ভারী বৃষ্টির পানি পাহাড় থেকে নিচে আসে সেই পানির ধাক্কা লাগে আমাদের কবরস্থানে যার ফলে দিন দিন বিলীন হচ্ছে কবরস্থানের উত্তর পাশের অংশ একতৃতীয়াংশ ভেঙে গেছে , ঐ অংশে শত শত পুরাতন কবর ছিল দূঃখের বিষয় ভাঙ্গনে এই কবর গুলো চলে গেছে ! আগে যদি একটি গাইড ওয়ালের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে ভাঙন থেকে রক্ষা পেত, পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে যদি উখিয়া উপজেলার ইউএনও মহোদয় ১০/২০ মিটারের ১টি গাইড ওয়ালের ব্যবস্থা করেন ঐতিহ্যবাহী এই কবরস্থানটি ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে , আগামী বর্ষা থেকে আর ভাঙবে না , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী উখিয়ায় আশার পর অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন, আমি গনমাধ্যম প্রতিনিধি হিসেবে দেখেছি সাধারণ মানুষের যে কোন বিপদে সাড়া দিয়েছেন এবং সমস্যা সামাধান করেছেন, মানুষ পাশে থেকেছেন , অনেক অবেহেলিত রাস্তা , কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন , দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং সাধারণ মানুষের ডাকে ছাড়া দিয়ে যাচ্ছেন।
আমি ইউএনও মহোদয়ের নিকট বৃহত্তর ভালুকিয়ার ১০ হাজার মানুষের পক্ষে থেকে আকুল আবেদন করছি আমাদের শত বছরের কবরস্থানটি রক্ষায় একটি গাইড ওয়ালের ব্যবস্থা করে দিলে আপনার নিকট এলাকাবাসী চির কৃতজ্ঞ থাকবে আপনার জন্য দোয়া করবে আল্লাহর কাছে পুরষ্কিত হবেন।
আরেকজন স্থানীয় সচেতন নাগরিক মাওঃ আরফাত হোসেন বলেন এই কবরস্থানে যদি অতি দ্রুত গাইড ওয়ালের ব্যবস্থা করা না হয় আগামী বর্ষায় আরো ১০ হাত ভাংতে পারে! উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় আমাদের দিকে সুদৃষ্টি দিবেন ভাঙ্গন রোধে একটি গাইড ওয়ালের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশা করছি। কবরস্থানটি রত্নাপালং ০২ নং ওয়ার্ড ও হলদিয়া ০৪ নং ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ করা ঢলোয়া খাল ( থিমছড়ী) খাল হিসেবে পরিচিত।