কোর্টবাজার আল ফারুক ইনস্টিটিউটের অবিভাবক সমাবেশ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯:০০ টায় মাদ্রাসার হলরুমে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ মোস্তাক খোন্দকারের সভাপতিত্বে ও হিফজ বিভাগের ছাত্র হাফেজ সানা উল্লাহর কুরআন তেলাওয়াত সিনিয়র শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উখিয়া কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সবুজ শাহারিয়া , প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন সন্তানের প্রথম শিক্ষক হচ্ছেন মা , সন্তানের বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় মা-দের, সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া মায়ের দায়িত্ব ,আল ফারুক ইনস্টিটিউটের পড়ালেখার মান শিক্ষকদের আন্তরিকতা অবিভাবকদের ভালোবাসায় প্রতিষ্ঠান অনেকদূর এগিয়ে যাবে আল ফারুক ইনস্টিটিউটের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রতিষ্ঠান ও অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পিএইচডি গবেষক মাওঃ আক্তার কামাল আজহারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উখিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক আহমেদ,বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল যোবাইর, অবিভাবক মাষ্টার আব্দুর রহমান, অবিভাবক মাষ্টার মনজুর আলম ,সাবেক রুমখা সতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রেজাউল করিম, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ আব্দুল করিম,বক্তব্য রাখেন শিল্পী রাব্বী,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মুহাম্মদ মুহিন, অভিভাবক ফরিদুল আলম,শাহ আলম, দিলরুবা আক্তার( সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষক) সহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে সকল দিক বিবেচনা করে বর্ষসেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মাষ্টার মুহাম্মদ রিদুয়ান এবং ০২ জন ছাত্র হিফজ সমাপ্তকারী ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান করা হয়,এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় ১ম ২য় ৩য় স্হান অধিকারী, নূরানী বোর্ডে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্ত ও প্রতিষ্ঠানের ভালো ফলাফল অর্জনকারীসহ মোট ৮৫ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
৩ শতাধিক অভিভাবকের উপস্থিতি ছিল হল রুম ভরপুর, অবিভাবকদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেওয়া হয়।
সর্বশেষ সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ মোস্তাক খোন্দকার ,সকাল থেকে অধিবেশন শুরু হলে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা হামদ্ নাত সংগীত ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা ছিল অসাধারণ, সর্বশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য দোয়া কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ।
