প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার কক্সবাজার আগমন উপলক্ষ্যে ১১ দফা দাবি নিয়ে কক্সবাজার স্টুডেন্টস ফোরাম, ঢাবির জরুরি সংবাদ সম্মেলন।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিয় গুতরেস ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুছ মহোদয়ের কক্সবাজার আগমন উপলক্ষ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ ১১ দফা দাবী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কক্সবাজার জেলা থেকে আগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ” কক্সবাজার স্টুডেন্টস ফোরাম, ঢাবি”বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহেশখালীর সন্তান আশরাফ উল্লাহ খাঁনের সঞ্চালনায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য ও দাবী পেশ করেন কক্সবাজার স্টুডেন্টস ফোরাম ঢাবি -এর
সভাপতি মোর্তজা হোছাইন শাফী
সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমরান খান
সাংগঠনিক সম্পাদক রিদুয়ান ইসলাম রানা।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:শামীম
কক্সবাজার স্টুডেন্টস ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ১১ দাবি সমূহ,,
১) জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সাথে নিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
২) কক্সবাজার জেলায় প্রযুক্তি নির্ভর আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা
৩) প্রতিটি উপজেলায় লবণ শোধনাগার স্থাপন করা৪) কক্সবাজার মহেশখালী নৌ রুটে বিদ্যমান সমস্যার স্থায়ী সমাধানকল্পে কমিশন গঠন পূর্বক অতিদ্রুত যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
৫) কক্সবাজারে চলমান সরকারী বেসরকারী প্রকল্পগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা।
৬) কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য ” উপকূল মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা।
৭) কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় নির্বিচারে পাহাড় নিধন, নদী, খাল- বিল ও চর দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পর্যটন এরিয়ায় অবৈধভাবে স্থাপিত যাবতীয় স্থাপনা উচ্ছেদ করা।
৮) মিয়ানমার সীমান্তে মানবপাচার, মাদক, চোরাচালান, অপহরণ ও যাবতীয় অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ দ্রুত দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাগরে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী জনবল বৃদ্ধি করা
৯) কক্সবাজার জেলায় উৎপাদিত দেশের অন্যতম পণ্য- মিষ্টি পান, চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি কে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান পূর্বক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারজাতকরণে সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা।
১০) প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আধুনিক, সহজ ও যুগোপযোগী করা এবং পর্যাপ্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা।
১১) উপকূলবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সরকারী হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, জনবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।