খাইরুল হক , রিপোর্টার উখিয়া,
সোনার পাড়া বাজার একটি ঐতিহ্যবাহি সুনামধন্য বাজার, যেখানে দূরদূরান্ত ও অজপাড়া গাঁ থেকে প্রতিদিন ক্রেতা ও বিক্রেতারা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয়ের জন্য আসে ।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের অন্যতম বাণিজ্যিক স্টেশন সোনার পাড়া বাজার। এটি অবস্থিত জালিয়া পালং ৩ নং ওয়ার্ডে।এই বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতারা আসে।কিন্তু তারা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য এসে প্রতিদিন একটা দুঃখ নিয়ে বাসায় ফিরে যায়, তা হচ্ছে অতিরিক্ত ইজারা বহন করা এবং যারা জিনিস পত্র ক্রয় করে তাদের অতিরিক্ত ইজারার কারণে চওড়া মূল্যে দেওয়া লাগে। বিক্রেতারা অতিরিক্ত ইজারার কারণে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না, যার ফলে দিন দিন সোনার পাড়া বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা ক্রমশই কমে যাচ্ছে।
গত পাঁচ বছর আগেও ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার কম ছিল ইজারা মূল্য, কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে ১(এক) কোটি টাকার উপরে মূল্য হাঁকিয়ে তার নাগালে নিয়ে গেছে এক অসাধু ব্যবসায়ী। সেই থেকে প্রতি বছর বাড়তেছে ইজারার মূল্য, হয়ে ২০২৪ সাল থেকে তা হয়ে দাড়িয়েছে ১,৭০,০০,০০০+ চেয়ে বেশি হয় ভ্যাট টেক্সে।
এই বিষয় সোনার পাড়া বাজারের এক দোকানের মালিকের সাথে কথা হয়, তিনি বলেছেন আগে এই বাজারের যেমন নাম ছিল তেমন কাজও ছিল, কিন্তু বর্তমান ইজারা মূল্য বেশি হওয়াতে অধিকাংশ বড় বড় সুপারি ও পান ব্যবসায়ীরা এখানে আসে না,যার ফলে যারা বিক্রেতা আছে তারা সোনার পাড়া বাজারকে এড়িয়ে যায় এবং বিকল্প বাজারে চলে যায়। ইনানী থেকে দক্ষিণের লোকজন শামলাপুর চলে যায়, হিমছড়ি – পেঁচারদ্বীপের লোকজন চলে যায় মরিচ্যা বা বালুখালী পান বাজারে।
ফলে এই বাজারের দোকান ব্যবসায়ীদের বিক্রয় একদম আগের তুলনায় তলানিতে।
তিনি আরো বলেন এইভাবে ইজারর মূল্য বাড়তে থাকলে তাহলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে সোনার পাড়া বাজার রুমখাবাজারে পরিনত হবে। সুতরাং সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ করে সোনার পাড়া বাজারকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার আহবান এলাকার সচেতন নাগরিক,শিক্ষিত মহল এবং এলিট শ্রেণীর লোকদের প্রতি।