পোস্ট ডেস্ক :
গাজীপুরীর জয়দেবপুর থানায় আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় জমায়েত হয়েছেন জামায়তের নেতাকর্মীরা। আটক ব্যক্তির নাম শফিকুল সিকদার। তিনি মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা-পুলিশ মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ খবর পেয়ে জামায়াতের বেশ কিছু নেতাকর্মী আটক ব্যক্তিকে নিজেদের দলের কর্মী দাবি করে ছাড়াতে থানায় ভিড় জমায়েত করেন।
শফিকুল গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিকেবাড়ী এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাত ৮টার পর গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার সামনে অবস্থান নেন। আটক নেতাকে থানা হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বলেন তারা।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম আওয়ামী লীগ নেতাকে আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল সিকদারকে থানায় আনা হয়। পরে তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে কথা বলার জন্য গাজীপুর সদর জামায়াতের কিছু নেতা থানায় আসেন।
ওসি আরো বলেন, তারা দাবি নিয়ে আসতেই পারেন কিন্তু আমার ছেড়ে দেওয়ায় সুযোগ নেই। তাকে একটি মামলার সাসপেক্ট হিসেবে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আটক শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ কারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।’
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আটক শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।