সংবাদদাতা আমিরুল ইসলাম:
কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালী টেকঘোনা পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আজিজুল হক গংয়ের বিরুদ্ধে।
(০৫ নভেম্বর) উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজাখালী টেকঘোনা পাড়া এলাকার মৃত নাগু মিয়ার কন্যা রহিমা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত মৌলভী কবির আহমদের ছেলে আজিজুল হক গংয়ের সাথে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়,নাগু মিয়ার কন্যা রহিমা বেগমের ছেলে মোশাররফ হোছাইন টেকঘোনা পাড়া কবরস্থানের পাশে একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নির্মাণ করার জন্য মাঠি ভরাট করলে আজিজুল হক গং এখানে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রহিমা বেগম বলেন, আমি নাগু মিয়ার কন্যা, আমি তার খতিয়ানের মালিক ২০০৩ সালে আমার ভাই সোলাইমান সহ কয়েক জন আমার খতিয়ানের অংশীদার আমাদের না জানিয়ে স্থানীয় মৌলভী কবির আহমদের ছেলে আজিজুল হক গংয়ের কাছে ২৯২১নং কবলা মূলে বিক্রি করে দেন।
২৯২১ কলার বিরুদ্ধে প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৬ ধারা মতে ২০০৬সালে চকরিয়া সিনিয়র সিনিয়র সহকারী জজ আদালাতে হকসই মামলা দায়ের করি। ২০১৬ সালের ০৩ অক্টোবর আদালাতের আদেশের মাধ্যমে ২৯২১কবলার জায়গা আমার মালিকানায় চলে আসে।আমি ওই জাগার মালিক হয়। এরপর আজিজুল হক গং আমাদেরকে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার জায়গায় দখলে যেতে দেয়নি। আমার ছেলে সন্তানদের হয়রানি করেছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আমাদের জায়গা আমরা ফিরে পেয়েছি। যেহেতু ওই জায়গা আমার পিতার তৈরীকৃত কবরের পাশে তাই আমার ওই জায়গায় আমার মরহুম পিতার ইছালে সাওয়াবের জন্য একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা মকতব প্রতিষ্টা করে ছেলে মেয়েদের কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্থাপনা তৈরীর জন্য মাটি ভরাট করেছি। কিন্তু আজিজুল হক গং আমাকে বাঁধা দিচ্ছে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করতেছে। বিজ্ঞ আদালাতের মাধ্যমে ওই জায়গার মালিকানা পাওয়ার পরও আমাদেরকে হয়রানি করছে আমি এটার জন্য দেশের প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।
রহিমা বেগমের ছেলে মোশাররফ হোছাইন পারভেজ বলেন, আমি আমার মায়ের জায়গায় আমার নানার প্রতিষ্ঠিত কবরস্থানের পাশে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নির্মাণ করতে মাটি ভরাট করেছি। মৌলভী কবির আহমদের ছেলেরা আমাদের বাঁধা দিচ্ছে হয়রানি করতেছে। হকসই মামলার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালাতে জমির মূল্য পরিশোধ করে আমার মা ওই জায়গার মালিকানা অর্জন করেছেন। গত ৪ তারিখ মাগরিবের পর বৈঠকের কথা বলে আমার আব্বুকে আটকিয়ে আজিজ গং ও তার বাহিনীর জোরপূর্বক স্টাম্প নিতে চাই পরে পুলিশ আসায় তারা পালিয়ে যায়। আমি চাই প্রশাসন ন্যায়ের পক্ষে আমাদের সহযোগীতা করবে।