পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কুতুবদিয়ায় আলোচিত মা- মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পরকীয়ায় আসক্ত নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শনিবার রাতে নিহত নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরের স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। এ হত্যার ঘটনায় নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে। কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাজীর পাড়ায় আল-কুরানুল কারিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় হায়দার পাড়া মসজিদের ইমাম সিরাজুদ্দৌলাহ। গত শুক্রবার তার ছোট্ট বোন রুনা আক্তার ও ভাগ্নি ওয়াসিমা নুরে জারিয়া আক্তারকে নিজ বাসভবনে “মুনতাছির ম্যানশনে” জুমার নামাজের সময়ে হত্যা করে। ঘটনার পরে বাদী সিরাজ দৌল্লাহর স্ত্রীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ওখানে তখন মানুষজনের ভিড় ছিল। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় রান্না ঘরে মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভাগ্নি ওয়াসিমা নুরে জারিয়া আক্তার এবং তার পাশেই মাথার পিছনে গলা ও ঘাড়ের এক-তৃতীয়াংশ জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট বোন রুনা আক্তারের মরদেহ পড়ে রয়েছে। রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগর অন্য এক মহিলার সাথে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হতো বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। এদিকে, মা-মেয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের শেষে জানাজা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন করে নিহত রুনা আক্তারের বড় ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আব্দুল হাদি সিকদার পাড়ায় জুমার নামাজের সময় নিজ বাসভবন ” মুনতাছির ম্যানশনে” মা-মেয়েকে হত্যা করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। নিহত রুনা আক্তার ওই এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরের স্ত্রী।