দৈনিক কক্সবাজার পোস্ট
ঢাকামঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর ২০২৪
  1. অভিযোগ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আরও
  5. কক্সবাজার
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাত্রা
  12. তথ্য ও প্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. ফিচার
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গর্জনিয়ার বহু অপকর্মে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতারা এখনো অধরা

admin
অক্টোবর ২২, ২০২৪ ৩:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গর্জনিয়ার বহু অপকর্মে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতারা এখনো অধরা, গ্রেফতারের দাবি স্থানীয়দের।


কক্সবাজারের রামু উপজেলার অন্তর্গত গর্জনিয়া ইউনিয়ন ছিল রাজনৈতিক সম্প্রীতির আবাসস্থল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলের নেতৃবৃন্দরা হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে সেই সম্প্রীতি ধ্বংস করে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা আরো জানান, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তৎকালীন স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী, আইয়ুব সিকদার, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান, রামু উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাউচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান, যুবলীগ নেতা হানিফসহ প্রমুখদের নেতৃত্বে বিরুধীদলের উপর প্রকাশ্য হামলা, ব্যনার-পোষ্টার ছিঁড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, পুলিশ দিয়ে হয়রানি, নিজেদের অফিস পুড়িয়ে অহেতুক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত করে।

এসময় বিরোধী দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়।

ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে তাদের নেতৃত্বে ভোটারদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, বিরোধী দলের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে ভোট ডাকাতি করে।

২০১৩ সালে রামু উপজেলা ছাত্রদলের মিছিলে গর্জনিয়া ইউনিয়ন থেকে যাওয়া ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের উপর যে হামলা হয় সে হামলায় গর্জনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানসহ উপস্থিত থেকেই নেতৃত্ব দেন।

এছাড়াও ২০১২ সালের রামুর মন্দির পোড়া মামলায় সাধারণ মানুষকে অহেতুক মামলার আসামি করে হয়রানি করা হয়। চব্বিশ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন সময়ে তারা বিরোধী দলসহ আওয়ামী বিরোধী সকল মতের মানুষদের মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণে বাঁধা প্রদান করে। এতসব অপকর্মে জড়িত থাকার পরও তারা কিভাবে প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায় প্রশ্ন জনসাধারণের।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তৎকালীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগ মিলে মোঃ মুবিনুর রহমান রুবেলকে টাইমবাজার নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে কোনো ধরনের মামলা ছাড়া পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল যাতে তাদের দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সুযোগ হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে এজেন্ট থাকায় আমাকে গলাধাক্কা দিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে তারা ভোট ডাকাতি করেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২১/১০/২৪ ইং রোজ সোমবার হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন।

গর্জনিয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত এসব আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

কেনাকাটার আনন্দ ঈদ অফারে