প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রাত দশটার মধ্যে প্রতিটি গেইটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়বে কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্যমতে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারন ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বিকেল ৩টায় লেকে পানি আছে ১০৭.৬৬ ফুট এমএসএল :মিন সি লেভেল:
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও জানানো হয়, বৃষ্টিপাত নিবিড় পর্যাবেক্ষন করা হচ্ছে। হ্রদের পানি আরও বৃদ্ধি পেলে স্পীলওয়ে গেইট খোলার পরিমান ব্ড়ানো হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে লেকে রুলকার্ভ অনুযায়ী প্রয়োজনের চেয়ে পানি বেশি আছে, ফলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতি ইউনিটের মাধ্যমে ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিস্কাশিত হচ্ছে। তবে ৫ টি ইউনিট হতে সর্বোচ্চ ২৩০ হতে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কাপ্তাই হ্রদের আশেপাশের এলাকা পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জল কপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশ। বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের ১১টি জেলা। ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যেই বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে ও ত্রাণ দিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। তবে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) থেকে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে সুসংবাদ দিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশও।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে পলাশ লিখেন, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য সুসংবাদ। আগামীকাল রোববার থেকে বন্যার পানি দ্রুত নামা শুরু করার আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিপাত মানচিত্র। এই চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে।
এর আগে আজ (২৪ আগস্ট) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হলেও অতিভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার শঙ্কা নেই। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে বৃষ্টি প্রবণতা কমেছে। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি কম থাকবে।
তিনি আরও জানান, আমাদের দেশের কয়েকটি জেলায় খুব স্বল্প সময়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতি মাসের শুরুতেই আবহাওয়া পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির একটা বৈঠক হয়। সেখানে আমরা বলেছিলাম দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর- পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস ছিল। ১৬ আগস্টে উপকূল অঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে ৭২ ঘণ্টার জন্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়া হয়। এর মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবেও বৃষ্টি হয়।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়ার শুরু থেকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আসছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল। চলমান বন্যার জন্য চারটি প্রাথমিক কারণও উল্লেখ করেন তিনি