জিয়াউল হক জিয়া, কক্সবাজার:::
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ডেলপাড়াগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২টি বসতঘর পুড়ে অন্তত ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। তবে উক্ত ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১৪ই জুলাই রাত তিনটার দিকে মরহুম শাহাবুদ্দিনের পুত্র আবছারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবছার জানাই, সে একজন কম্পিউটার অপারেটর তিনি পত্রিকার মেকআপের কাজে রাত্রে কক্সবাজার শহরে কর্মস্থলে থাকেন ঘটনার দিনও তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার মা খালার বাড়িতে বেড়াতে গেছে , বাড়িতে ছিল তার বোন তানজিনা আক্তার। আবছার ঘটনা শুনতে পেয়ে বাড়িতে এসে দেখতে পায় তার বাড়ির সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার জানামতে বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়নি, আমার ধারণা মতে কেবা কারা আমার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে ধারণা হচ্ছে কারণ আমার বাড়িতে যদি আগুনের সূত্রপাত হইয়া থাকে কোনভাবে ১০০ ফুট দূরে আমার চাচার বাড়িতে কেন আগুন লাগছে। আমার বাড়ি এবং চাচার বাড়িতে আগুন লাগা থেকে ধারণা করছি এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কেউ আমার বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমার বাড়ির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মাথা গোজার স্থান নেই পরিবারের। আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসন তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচারের সহায়তা কামনা করছি।
স্থানীয়রা জানান,রাত তিনটার দিকে আমরা আগুন দেখতে পাই কে বা কোথায় থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। আগুনের লেলিহান ও বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পাশের মরহুম শাহাবুদ্দিনের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে। এলাকাবাসী কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে বাড়ির আসবাবপত্র বেশিরভাগ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এসময় ঘরগুলোতে থাকা লোকজন দ্রুত বের হয়ে আসায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য্য বলেন, খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে । বিদ্যুতের সংযোগের লাইন থাকায় কারণে প্রথমে নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের সম্ভব হয়নি। পরে আমরা বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে যতোটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনছি। আগুনের সূত্রপাত কোথায় থেকে হইছে আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত তথ্য প্রমান পাইনি। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ যদি রিপোর্ট চাই আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট দিতে হবে। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করলেও ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
শাহাবুদ্দিনের মেয়ে তানজিনা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ঘটনার দিন তিনি তার ছেলেকে নিয়ে বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল।বাচ্চার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই বাড়িতে আগুন জ্বলছে। তৎক্ষণিক তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে দরজায় বাহির থেকে লক করা আছে, তার সু চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোক এসে দরজা খুলে দিলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে। অভিযোগ সূত্রে অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাড়িতে চতুর্দিকে কেরোসিন দিয়ে বাড়িতে আগুন দিয়েছিল। আরো উল্লেখ রয়েছে পার্শ্ববর্তী রাশেদা বেগম নামে এক মহিলার সাথে আমার টাকার লেনদেন রয়েছে । তার সাথে আমার বিরোধ ছিল তিনি আরও কিছু দোষ কৃতকারী কুচক্রী মহল একসাথে জড়িয়ে আমার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে আমি ধারণা করছি। অভিযোগে ৪ লক্ষ টাকা মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সুস্থ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।