গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের কোনো অবকাশ নেই। আমরা অনুরোধ করব- আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আর নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না। অন্তত এই চার সপ্তাহ। এরপরও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতিবস্থার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ থেকে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ মনে করে না। যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা, সহমর্মিতা আছে। কিন্তু সে সঙ্গে মনে রাখতে হবে, দেশের প্রচলিত আইন ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। সে জায়গা থেকে যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, সেহেতু ডিএমপির পক্ষ থেকে আমি বিনীত অনুরোধ করছি তারা যেন মানুষকে কোনো দুর্ভোগ দিয়ে কর্মসূচি না দেয়৷
তিনি বলেন, গত ১০ দিন ধরে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাবসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের গাড়ি, চলাফেরা ব্যাহত হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে মানুষ যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে৷
পুলিশ সবার অধিকারের বিষয়ে যেমন শ্রদ্ধাশীল সে সঙ্গে সম্মানিত মহানগরবাসীর নিরাপত্তা ও গমনাগমনের জন্য পুলিশ প্রাণান্ত চেষ্টা করে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে আন্দোলন চলে আসছিল সেটি ৬ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা অবস্থান নেয়। পুলিশ অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে এবং ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।
আমরা আশা করি, আমাদের আবেদন এবং সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই রয়েছে। তাই পরবর্তী কর্মসূচির কোনো যৌক্তিকতা নেই৷ শিক্ষার্থীদের প্রতি সহযোগিতা এবং ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে।
এইচএসসি পরীক্ষা চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ জুলাই রথযাত্রা হয়েছে। ডিএমপি প্রচণ্ড প্রেশার নিয়েছে। সামনে আশুরা ও উল্টো রথযাত্রা রয়েছে।
আজও শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের পক্ষে রয়েছে। কাজেই আন্দোলনের যদি যৌক্তিকতা না থাকে তবে আন্দোলনে আসা উচিত নয়। আন্দোলন না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ রইলো।