হিরু আলম,পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ার মধুখালীর উপরে চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন টৈটং বিটের মধুখালীর উপরে রিজার্ভ হারবাং মৌজার আরাতুল্লা ও নকশা ফুল্লার গহীন অরন্যে বালি দস্যু কতৃক উত্তোলিত প্রায় ৪লক্ষ ৬হাজার ঘণফুট প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে বনবিভাগ।
(০৮ মে) সকাল ৬টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়, অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক দেওয়ার হোসেন।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়,সংরক্ষিত বনে ৫/৪ বছর আগে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করেছিল বালি দস্যুরা। ২০২৩সালের ২৫ মে ওই বালি জব্দ করে ইউ. ডি. আর মামলা দায়ের করেন টৈইটং বনবিট কর্মকর্তা জমির উদ্দিন । চলতি বছরে বালি দস্যুরা এ বালি নিলামের নামে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে করে বিভিন্নভাবে তদবির করে। বনবিভাগ ও মিডিয়ার তথৎপরতায় বন্ধ হয়ে যায় নিলাম কার্যক্রম। চলতি বছরের ৩১ মার্চ ওই বালি প্রকৃতির সাথে মিশে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক। আদালাত তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮এপ্রিলের মধ্যে বালি পরিমাপ ও অবস্থান নিশিত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পেকুয়া নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। ধার্য তারিখে ইউএনও প্রতিবেদন না দেওয়া ও কোন সময় প্রার্থনা না করায়। রেঞ্জ কর্মকর্তার আবেদনের ধারাবাহিতায়, ধার্য তারিখ হতে৩০ দিনের মধ্য বালি নিচু স্থানে ভরাট করে গাছ রোপন করে আদালাতে ভিডিও চিত্র সহ প্রতিবেদন দাখিলের বির্দেশ দেন বারবাকিয়া রেঞ্জ হাবিবুল হককে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পেকুয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম সুমন বলেন, যে ভাবে বালি দস্যুরা প্রতিনিয়ত দস্যুতা করে, এখানে বালির স্তুপ তৈরি করেছে ভূমিদস্যুরা, সেই বালি বনবিভাগ মিলিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির সাথে বনবিভাগের প্রতি অনুরোধ যারা এই বালি দস্যুতার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে যেন আইনের আওতায় আনা হোক।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, আদালতের আদেশ ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে এই বালু গুলো মিলিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপের কাজ শুরু করছি। বালুদস্যূ যে হোক না কেন এবং বালু পাহাড় সংরক্ষিত বনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের যেকোনো ধরনের পাইতারা বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্তৃক কঠোর হতে দমন করা হবে।
চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক
দেলোয়ার হোসেন বলেন, যে বালি আমরা জব্দ করেছিলাম সেই জব্দ কতৃক বালি আমরা স্পোটেই যেন ভরাট করে সেখানে বিভিন্ন বনজ্য বৃক্ষ রোপণ করার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করি। আদালতের সেই আদেশকে শিরোধার্য করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এখানে উপস্থিত হয়েছি।