উখিয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের উখিয়ায় উঠতি বয়সী যুবকদের টার্গেট করে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে সমকামিতার মতো রাষ্ট্র বিরুধী ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে বিভিন্ন দেশি বিদেশি এনজিও সংস্থা। সেই এনজিও সংস্থার মধ্যে (GUK)গাক” নামের একটি
বেসরকারি এনজিও ক্যাম্পে কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে (GUK) এনজিওর ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ ইমরান প্রকাশ (দ্বীপ) এর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ওয়ালে উখিয়ার উঠতি বয়সী তরুণদের নিয়ে বিভিন্ন ছবি দেখা যায়।
এছাড়া তার সহকর্মীসহ তার ছোট ও সমবয়সীদের নিয়েও ছবি দেখা যায়।
গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত দশটার দিকে মো: ইমরান (দ্বীপ) ও আরেকজন যুবককে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এক পাশে দেখা গেলে স্থানীয়রা সন্দেহজনক তাদের ধরে পরিচয় জানতে চেষ্টা করে, পরবর্তীতে তারা এনজিও কর্মী বলে পরিচয় দেয়। পরে স্থানীয়া তাদের উলঙ্গ হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সন্দেহজনক আচরণ করলে তাদের ব্যবহিত
মোবাইল চেক করা হয়, সেখানে অসংখ্য ছেলেদের সাথে মেলামেশার ভিডিও এবং বিভিন্ন কিশোর মেয়েদের সাথে তার ধারণ করা আপত্তিকর প্রায় ৩ শতাধিক ভিডিও দেখা যায়।
স্থায়ীরা জানান, মোহাম্মদ ইমরান প্রকাশ (দ্বীপ) উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আব্দুল মান্নান মিয়াজির ভবনে থাকেন। ঐ ভবনেই এসব রাষ্ট্র বিরুধী অসামাজিক কার্যকলাপ করেন। যা তার মোবাইল ধারণকৃত ভিডিওতে স্পষ্ট বুঝা যায়।
এবিষয়ে জানতে বিল্ডিংয়ের মালিক মান্নান মিয়াজির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের যা ইচ্ছে তা করার জন্য বলেন, তার বিল্ডিংয়ে সব চলবে বলে ধমকির সুরে কথা বলেন।
GUK এর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইমরান (দ্বীপ) এর সমকামিতার ব্যাপারটা উখিয়ায় স্থানীয় ভাবে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় আসলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে, আমরা সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইমরানকে ইতিমধ্যে চাকুরীচ্যুত করেছি। চাকুরীচ্যুত পত্রটি একটি সপ্ট কপি মেইলে প্রতিবেদককে পাঠানো হয়।
আলোচনায় আসা সমকামিতার বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে এনজিওর চাকরির আড়ালে চলছে ইয়াবা, অস্ত্র,পতিতা ও অপহরণের সাথে নতুন করে যুক্ত হলো সমাকামিতা! এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনকে উখিয়াতে হঠাৎ করে বেড়ে উঠা বহুতল ভবনে থাকা ভাড়াটিয়া ও মালিকদের তালিকা তৈরি করে মনিটরিং এর আওতায় আনা প্রয়োজন।