দৈনিক কক্সবাজার পোস্ট
ঢাকারবিবার , ৩১ মার্চ ২০২৪
  1. অভিযোগ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আরও
  5. কক্সবাজার
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাত্রা
  12. তথ্য ও প্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. ফিচার
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাতকানিয়ায় জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

Kamrun Taniya
মার্চ ৩১, ২০২৪ ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সাতকানিয়া প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম শ্রাবণ;;পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার শেষ হতে না হতেই পরিবার পরিজন কে সাথে নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপনের জন্য সাতকানিয়ার বাজার গুলোতে শুরু হয়েছে কেনাকাটা। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির মধ্যে মার্কেটে গিয়ে ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে খুঁজছেন ঈদ উদযাপনের জন্যে পছন্দনীয় পোশাক। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরের ব্যবসা বাণিজ্য খুব বেশি ভালো হবে বলে মনে করছেন সকল প্রকার খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে ক্রেতাগন বলছেন ঈদের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রভাব পড়ছে এই বছর। সাতকানিয়ার বিভিন্ন বাজার গুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে যে জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ মানে আনন্দ! ঈদ মানে খুশি! ঈদ মানে দুঃখ ভুলে সুখের ভাগাভাগি! এই ঈদে প্রতিটা মুসলমান নরনারী চাই নতুন জামা আর নতুন জুতা। বছরের প্রতিটা দিন জুড়ে কাপড় কিংবা জুতা ক্রয় করলেও কেনাকাটার জন্যে রমজান এলেই ঈদকে সামনে রেখে শুরু হয় ঈদ এর কেনা কাটার উৎসব। ক্রেতারা বলেন ঈদের সময় কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। আমাদের সেই জন্মের পর থেকেই কিন্তু ঈদে কেনাকাটা চলছে। কিন্তু এ সময় সিয়াম সাধনার পাশাপাশি বিরাজ করছে অন্যরকম আবহ। আগামী ১০এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর তা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বলা যায়। আর সে হিসেবে ঈদের বাকী মাত্র ১১দিন। এই উপলক্ষে সাতকানিয়ার বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে কেনাকাটার ভিড় শুরু হয়েছে। সাতকানিয়ার কেরানীহাট নিউ মার্কেট, সিটি সেন্টার, হক টাওয়ার, কেরানীহাট হকার্স মার্কেট, সাতকানিয়া সদর মার্কেট, বাংলাবাজার, ফুলতলা, ও বাজালিয়াসহ অন্যান্য মার্কেটে ক্রেতাদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। একই সাথে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ঈদের কেনকাটা করতেছে। এমন কি উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবারের সকল সদস্যারা পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটা করতেছে যার যার পছন্দ অনুযায়ী। তবে এই ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা একটু বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিস, বোরখা, হিজাব, স্কাপসহ সকল ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। কিন্তু এদের তুলনায় কেনাকাটায় শাড়ী বেচাকেনাও থেমে নেই একদম। কালেকশান এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের শাড়ী ক্রেতারা কিনছেন । ক্রেতারা অন্যান্য শাড়ির তুলনায় চাহিদা অনুযায়ী জামদানি শাড়ি বেশি কিনছেন। ওপর দিখে কসমেটিকস্ বিক্রেতা ও ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রেতারা জানান, আমাদের বেচাকেনা কদিন আগে একদম ছিলনা। তবে আগের তুলনায় বেচাকেনা একটু বেড়েছে বলে জানান তারা। মার্কেটে এসে পণ্য ক্রয়কৃত ক্রেতাগণদের সাথে আলাপ- আলোচনা করে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রকার শার্ট প্যান্ট এর রেডিমেট দোকান এবং রেডিমেট লেডিস কাপড় এর দাম তুলনা মুলকভাবে বেশী রাখছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রভাব পড়ছে এইবারের ঈদের বাজারে। অনেক ক্রেতারা দামের কারণে পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে । আবার অনেকেই ফুটপাত এবং হকার্স গুলোতে ভীড় করছেন। এই শ্রেণীর ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদকে সামনে রেখে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে কেরানীহাট মার্কেটের ছোট বড় সব দোকান গুলো। নিম্ন বিত্তদের ভরসাস্থল ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে নেই জামা কাপড় জুতো স্যান্ডেল নিয়ে। জরি পাথর কাঁচ চুমকীর কাজ করা জমকালো পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকান গুলোয়। ডিসপ্লেতে রাখা হয়েছে। কাপড়ের প্যাকেটের মধ্যে মডেলদের ছবি। এসব আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের মন। এসকল কাপড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশী তৈরি থ্রিপিস গুলাও কোনো অংশে কম যায়না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানীকৃত ডিজাইনকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের এই পণ্যগুলো। এক সেলসম্যান বলেন যে, দেবতা যে ফুলে সন্তুষ্ট তাকে সেটি দেয়া হচ্ছে। ক্রেতার মন বুঝে ব্যবসা। ক্রেতারা জানান, অনেক ব্যাবসায়ীরা যে ভাবে পারছে বেশি দাম নিয়ে নিচ্ছে পোশাকের। এমন এমন সময়ে দেখা গেল এক একটা থ্রি পিছ এর দাম পাঁচ কিংবা ছয় হাজার পর্যন্ত চাওয়া হলো এরপর ক্রেতার মর্জি অনুযায়ী ক্রেতারা যা দিয়ে নিতে ইচ্ছুক। তবে যার জার কাছ থেকে যেমন পাওয়া যাচ্ছে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। কিছু দোকানে একই থ্রি পিছ পাঁচ ছয় হাজার টাকা থেকে শুরু করে পনেরো হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। যতই দাম হাঁকা হোক একটু সাহস করে কম দাম বলে দরাদরি করতে হবে। বিত্তবান যারা দরাদরি পছন্দ করেন না তারা পছন্দ হলেই বিক্রেতার দামে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের অবস্থা এমন দাড়িয়েছে বছরের এগারো মাসের ব্যবসা এক মাসেই করে নিতে চাচ্ছে। এমন অবস্থা ছেলেদের শিশুদের কাপড়ের দোকানেও। জুতো স্যান্ডেলের বাজারের একই অবস্থা। তবে জুতোর বাজার জমবে একেবারে শেষ মুহুর্তে। জামা কাপড়ের সাথে ম্যাচিং করে কেনা হবে জুতো স্যান্ডেল। কেরানীহাট নিউ মার্কেটের মেগামার্ট দোকানে গিয়ে দেখা যায় অন্যান্য দোকানের তুলনায় ওখানে ক্রেতাদের অনেক ভিড়। মেগামার্ট এর বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে পোশাকের সেল এর বিষয়ে তিনি বলেন যে, আমরা সচরাচর অন্যান্য ব্যাবসায়ীদের তুলনায় প্রতিটা কাপড়ের দাম কমিয়ে নিচ্ছি কারণ আমাদের বিষয় হচ্ছে আমরা যদি কম লাভে সেল বেশি করতে পারি তাহলে আমরা বেশি পোশাক সেল করতে পারবো। আর প্রতিটা শ্রেণীর ক্রেতাগন স্বাচ্ছন্দে আমাদের কাছ থেকে পোশাক নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারবে। মেগামার্ট কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় নেওয়া এক ক্রেতার কাছে যখন জানতে চাইলাম আপনাদের এখানে এত দোকান থাকা সত্বেও এই দোকানে এসে কাপড় কিনে নিয়ে আপনারা কেমন সন্তুষ্ট হচ্ছেন? তখন উনি বলেন যে, আমরা পরিবারের সদস্যদের জন্যে কাপড়ের জন্যে অনেক দোকানে গিয়ে দেখলাম প্রায় দোকানে কাপড়ের মানের তুলনায় দাম দ্বিগুণ বেশি। আর এই দোকানে মান কিংবা দাম অন্যান্য দোকানের চেয়ে অনেক কম তাই আমি এই দোকান থেকে কাপড় কিনে অনেক খুশি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

কেনাকাটার আনন্দ ঈদ অফারে