দৈনিক কক্সবাজার পোস্ট
ঢাকাসোমবার , ২৫ মার্চ ২০২৪
  1. অভিযোগ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আরও
  5. কক্সবাজার
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাত্রা
  12. তথ্য ও প্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. ফিচার
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কক্সবাজ কারাগারে বন্দীদের জন্য সুযোগ সুবিধা

Kamrun Taniya
মার্চ ২৫, ২০২৪ ২:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ “রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ” এ শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে কক্সবাজার জেল সুপার মোঃ শাহআলমের যোগ্য নেতৃত্বে কারাগারে ভেতরে বাহিরে কর্মরতরা একাগ্রচিত্তে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। সওকত হোসেন মিয়া ও কারাগারের স্বার্থ রক্ষা করে জনসাধারণের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। কক্সবাজার জেলা কারাগারের চিত্র। আগের চেয়ে বেড়েছে সেবার বন্দী সেবার মান বর্তমান জেল সুপারের, সুদক্ষ পরিচালনায় কক্সবাজার জেলা কারাগার এখন বাংলাদেশের মডেল কারাগার হিসেবে বাস্তবিক দৃষ্টান্ত। এমনটাই জানালেন সদ্য জামিনে মুক্তবেশ কয়েকজন কারাবন্দি। পবিত্র রমজান মাস এলেই দেশের কারা অভ্যন্তরে বন্দীদের জন্য বাড়ে হরেক সুযোগ সুবিধা। ইফতার, সেহরি এবং ধর্মীয় রীতি নীতি অনুসরণ কারিরা সেখানকার পরিবেশকে শান্ত করে তুলে। মোঃ শাহ আলম জেল সুপার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে বিধি বিধান অনুসরণ করেই কারাগার পরিচালিত হচ্ছে। কারা বিধি মোতাবেক প্রাপ্য সকল সুবিধা বন্দিদের সমানভাবে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জেল সুপারের নেতৃত্বে কারাগারে শান্তি-শৃংখলা সৃষ্টি, কারা মনিটরিং, অসুস্থ বন্দিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, কারা ক্যান্টিনে ন্যায্যমূল্যের ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক তদারকি, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, পয়: নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক চাহিদাসমূহ পৌঁছে দিতে কাজ করছেন কারাগারের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। সততায় অবিচল থেকে মডেল কারাগারে রুপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন জেল সুপার। এদিকে বর্তমানে কারাগারে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য কক্সবাজার কারা হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসক নিয়োজিত রয়েছেন। এসব চিকিৎসক প্রতিদিন রোগিদের দেখেন এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। সেখান থেকে প্রকৃত অসুস্থ রোগিদের কারা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের মতে, বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহআলমের যোগ্য নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগার বাংলাদেশের অন্যান্য কারাগারের তুলনায় অনেক এগিয়ে। এদিকে সদ্য কারামুক্ত কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার এক ব্যক্তি জানান, তারা একটি মামলায় বেশ কিছুদিন কারান্তরিন ছিল। বর্তমানে কারাগারের পরিবেশ বেশ চমৎকার। কারাগারে প্রত্যেক বন্দিদের সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে সদ্য কারামুক্ত চকরিয়া গান্ধিপাড়ার দোস্ত মোহাম্মদ ও মাষ্টার হাফেজ আহমদ জানান, কারাগারে উন্নতমানের খাবার দেয়া হয় বন্দিদের। কারা কর্তৃপক্ষ খুব সুন্দরভাবে কারাগারে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার আব্দুর রহমান সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন) তিনি বলেন, আমার দেখা মতে কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী বাড়তি কোন সুযোগ-সুবিধা তথা আরাম আয়াশে থাকতে না পারে সেজন্য জেল সুপার সহ কারা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছেন। প্রতিদিন তিনি কারাগারের সকল ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং বন্দি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কারণে কারো অসুবিধা হচ্ছে না কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। শুধু তাই নয় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যেন অনৈতিক কর্মকান্ড করতে না পারে সেজন্য কারারক্ষীদের সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেন। শনিবার দুপুরে জেলা কারাগারে কথা হয় রামুর মন্ডল পাড়ার ছকিনা বেগমের সাথে। তিনি এসেছেন তার কারাবন্দী স্বামীর জন্যই পিসিতে টাকা দিতে। তিনি জানান, স্বামীর সাথে সাক্ষাত করে এই কারাগারের ভেতরের পরিবেশের যথেষ্ট সুনাম শুনেছেন। ডেপুটি জেলার আবদু সোবহান বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারা বন্দিদের প্রত্যক্ষ সেবা এ প্রদান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারাগারে যাতে কোন অপ্রীতিকর তথা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এমন কার্যক্রম যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। জেল সুপার মোঃ শাহ আলম বলেন, কারাগার একটি স্পর্শকাতর সরকারী গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান।কারাগারে বিগত দীর্ঘ দিন ধরে আমি কর্মরত আছি। কাঠামো ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আমার সার্বিক প্রচেষ্টায় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কারাগারের উন্নয়নের চিত্র পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছি। কারাগারের সেবার মান বাড়িয়েছি। কারাগারে মাদকের প্রবেশ যাতে না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।এখনো অনিয়ম-দুর্নীতির কোন প্রশ্নই আসে না। যদি কারাগারের কোন সদস্য অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী ধারনক্ষমতা ৮ শ ৩০ জন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বন্দী রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার।ধারন ক্ষমতার প্রায় ৫ গুন বেশি বন্দী নিয়ে মানব সেবায় নজির সৃষ্টি করা উক্ত কারাগারে মায়ের সাথে বীনা অপরাধে জেল কাটা শিশুদের রোজ দুইবার তরল দুধ দেওয়া হচ্ছে বলে জানাগেছে। কারাগারে ৩০০ জন বন্দি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬ তলা ভবন উদ্বোধন হওয়ায় বন্দিদের দীর্ঘদিনের শোয়ার জায়গার সমস্যার সমাধান অনেকাংশে হচ্ছে। তাছাড়া আইসিআরসি কর্তৃক কারাগারের বাহিরে ২ টি গভীর নলকূপ স্থাপিত হয়েছে ইতোমধ্যে। কারাগারে মশা নিধনের জন্য রয়েছে ফগার মেশিন। এদিকে দেখা সাক্ষাতের পাশাপাশি বিধি মোতাবেক প্রত্যেক বন্দী পরিবারের সাথে মোবাইলে কথা বলে জানা যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

কেনাকাটার আনন্দ ঈদ অফারে